সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ভোলার লালমোহনে সরকারি বরাদ্দের ঘর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ

ভোলার লালমোহনে সরকারি বরাদ্দের ঘর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে সরকারি বরাদ্দের ঘর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে তদন্তদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামে সরকারি বরাদ্দের অন্তত ১২টি ঘর বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সচ্ছল ব্যক্তিদের ঘর দেওয়ায় তাঁরা এখন ঘরের সরঞ্জাম খুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে গত সপ্তাহে স্থানীয় লোকজন ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও ২৫ এপ্রিল তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে তদন্তদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সম্পর্কে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি ঘর ভাঙা অবস্থায় পেয়েছেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন, ঘর দুটি মো. শাহিন ও তাঁর বাবা সালাউদ্দিনের। তাঁরা ভূমিহীন। সংস্কারের জন্য ঘর দুটি ভাঙা হয়েছে। বাস্তবে ঘর দুটি কার বা কোন প্রকল্পের, তা নথি দেখে জানতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সরকার ভূমিহীন ও দরিদ্রদের জন্য প্রায় ২০০ ঘর বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু অনেক সচ্ছল পরিবার এসব ঘর পেয়েছে। অনেকে ঘর পেয়ে গরু-ছাগলের গোয়ালঘর বানিয়েছেন। অনেকে ঘরে থাকেন না। ভাড়া দিয়েছেন। অনেকে ওই ঘরের নির্মাণসামগ্রী বিক্রি করে দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দাবাদ মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে একটি গুচ্ছগ্রামের ১০টি ঘর ছিল, এখন একটি ঘরও নেই। সুবিধাভোগীরা ঘরের বেড়া, চালের টিন, কাঠ, লোহার ফ্রেম বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন শুধু পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ১৮ এপ্রিল দুটি ঘর ভেঙে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছেন মো. শাহিন ও তাঁরা বাবা মো. সালাউদ্দিন। গ্রামের কয়েকজন জানান, ঘরের পিলারগুলো পুকুরের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে। লোহার ফ্রেমসহ অন্যান্য মালামাল উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে রাখা হয়েছে। টিনগুলো রাখা হয়েছে গুচ্ছগ্রামের আরেক বাসিন্দার ঘরের সামনে। তবে মো. শাহিনের ভাষ্য, তাঁরা ভাঙনকবলিত ভূমিহীন। তাঁদের কোনো জমি নেই। বাবার নানাবাড়ি থেকে যে জমি পেয়েছিলেন, তা বিক্রি করে পড়ালেখা করেছেন। তাঁরা বর্তমানে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির জমিতে ঘর তুলে বাস করছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাঁদের দুটি ঘর দিয়েছেন। মো. শাহিন বলেন, সরকারি ওই ঘরের জমিটা নিচু। বর্ষায় ডুবে যায়। তাঁরা উঁচু ভিটে তৈরি করে নতুন করে ঘর বানাতে চেয়েছিলেন। এ কারণে ঘর ভেঙেছেন। লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল আলী শিকদার বলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডে সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ২০০ ঘর বরাদ্দ এসেছে। এসব ঘর প্রদানে ৩-১২ হাজার করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সচ্ছল। তাঁদের অনেকে ঘর বিক্রি করে দিচ্ছেন। একই অভিযোগ করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন মিঞা। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, যাঁদের ঘর দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রকৃতই ভূমিহীন। দুই বছর আগে তৎকালীন ইউএনও যাচাই-বাছাই করে এসব ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। ঠিকাদার ঘর নির্মাণ করেছেন। এখানে তাঁর ভূমিকা নেই বললেই চলে। এ সম্পর্কে ইউএনও আল নোমান বলেন, গুচ্ছগ্রাম বা আবাসন, সরকারি বরাদ্দের কোনো ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। ঘর বিক্রির অভিযোগ পেয়েই তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত চলমান আছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com